Organic Vinegar with the mother Imported from Italy
বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত মেদ চর্বি, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি নানান রোগে ভোগা বেশিরভাগ মানুষই আপেল সিডার ভিনেগারের বিষয়ে জানেন। তবুও চলুন জেনে নেই এর গুনাগুনের কথা-
• অর্গানিক আপেল, চিনি ও পানি পচিয়ে গাঁজন প্রক্রিয়ায় আপেল সিডার ভিনেগার তৈরী হয়, এতে অন্তত ৫% Acetic Acid থাকে যাতে জন্ম নেয় দারুন সব উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়াই বন্ধু হয়ে কাজ করে আমাদের পাকস্থলীতে।
• ভিনেগার ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে নানান প্রদাহ থেকে আমাদের রক্ষা করে।(Hippocrates – The Father of Modern Medicine)আধুনিক ঔষধের জনক হিপোক্র্যাটস নানান ক্ষতে এই ভিনেগার ব্যবহার করতেন আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে।
• এর মধ্যে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
• নিয়মিত এই ভিনেগার সেবনের ফলে ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বৃদ্ধি পায়, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে।সুতরাং ডায়বেটিস এর রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর।
• আপেল সিডার ভিনেগার শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে তা নিয়ে আর কোন সংশয় নেই। ইতিমধ্যে লাখো মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন তার প্রমান।
• ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
• প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ সেবনে শুধু ওজন কমে না, মেটাবলিজম বাড়ায়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
• নানান গবেষণায় দেখা গেছে ভিনেগার রক্তে বাজে কোলেস্টেরল কমায় ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, TG ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রনে রাখে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে।
• হজমের সমস্যা মেটাতেও এই ভিনেগার খুব কার্যকর। গরম পানিতে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগারে বদহজম থেকে মুক্তি মেলে সহজেই।
• যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা খুব সহজেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এই ভিনেগারের গুনে।
• এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ (ফাইবার) আছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক।
• খাবারে প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিব হিসেবে কাজ করে এই ভিনেগার।
• ত্বকের যত্নে এই ভিনেগার ব্যবহার করলে চমৎকার ফল পাবেন।
• শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে নিন আপেল সিডার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে। কন্ডিশনারের সমান উপকার পাবেন। চুল নরম হবে, ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির জন্য খুশকির সমস্যাও কমবে দ্রুত।
সারা পৃথিবীব্যাপী আপেল সিডার ভিনেগারের কদর শত শত বছর ধরে।অসংখ্য রেসিপিতে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে এর ব্যবহার হয়।
ভিনেগার কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এটি যেন অর্গানিক এবং মাদারযুক্ত হয়।আপনারা নিশচয়ই জানেন এই মাদার মানে হল ভিনেগারে থাকা জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া। আরও বেশি গুরুত্বপূর্ন হল দারুন চাহিদাসম্পন্ন এই পন্যটিও বাংলাদেশের ভেজালের ভিড়ে পরে গেছে।সেগুলো দেখতে একই হলেও নানান কেমিক্যাল ছাড়া আর কিছুই নয়।এসব কেমিক্যাল যদি আপনারা সেবন করেন তবে এর প্রভাব খুব খারাপ হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সুতরাং সবাই সচেতন হবেন সেই আশাই করছি। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্যই আমাদের একমাত্র কাম্য।
কিভাবে এবং কখন খাবে:
১ – ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ১০০ – ২০০ মিলি পানিতে মিশিয়ে খেতে হয়। গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে খাবার খাওয়ার আগে খেলে ইনসুলিন স্পাইক কমাতে সাহায্য করে। দাঁতের এনামেল রক্ষায় স্ট্র ব্যবহার করা উচিত। এবং খাওয়ার পর ভালো ভাবে কুলি করে নিতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.