১০০% অরিজিনাল সুগন্ধি কাটারিভোগ চাল I 100% Original Sugundhi Katarivog Rice I 25 KG

৳ 4,075.0

?১০০% অরিজিনাল সুগন্ধি কাটারিভোগের নিশ্চয়তা
?‍? আনুমানিক, এক দেড়শ বছর ধরে দিনাজপুর জেলায় সুগন্ধি কাটারিভোগ ধান চাষাবাদ হয়ে আসছে সুগন্ধি_ও_খেতে_সুস্বাদু এই কাটারিভোগ চাল মাথার দিকে ছুরির মতো একটুখানি চোখা ও বাঁকা। কাটারিভোগ চাল দিয়ে ভাত, পোলাও ছাড়াও মজাদার বিরিয়ানি, জর্দা, পায়েশ ও ফিরনি রান্না করা যায়।
?মজার ব্যাপার হলো, এই কাটারিভোগ চাল পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ তো দূরে থাক, খোদ বাংলাদেশেরই অন্য কোনো জেলায় রোপণ করলে ঘ্রাণ ও স্বাদ বদলে যায়। এমনকি দিনাজপুরের সব এলাকাতেও কাটারিভোগ ধান চাষাবাদ হয় না।
কাটারিভোগ এক দেড়শ বছর ধরে দিনাজপুর জেলায় ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে সু-পরিচিত।
তাই তো জিআই পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের কাটারিভোগ চাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে রয়েছে, G-I এর পূর্ণরূপ হলো Geographic Identity বা ভৌগোলিক নির্দেশক। বাংলাদেশ সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী আরও ২৩ পণ্যের জন্য জিআই নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছেন।
?আমাদের #সুগন্ধি_কাটারিভোগ চালের বৈশিষ্ট্যঃ
? প্রাকৃতিক ভাবেই আকারে চিকন।
♦️ খেতে সুস্বাদু ও সুগন্ধি।
? সম্পূর্ণ খুদ ও পাথরমুক্ত।
♦️ চালে কৃত্রিম সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়না।
? শতভাগ বিশুদ্ধ ও হালাল।
♦️ ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
? কাটিং পালিশ ও কেমিক্যাল ছাড়া চাল তৈরি।
♦️ ৫, ১০, ২৫ এবং  ৫০ কেজির প্যাকেট ও বস্তা।
? ১০০% অরিজিনাল কাটারিভোগের নিশ্চয়তা।
♦️ সরাসরি দিনাজপুরের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের পরে নিজ ত্বত্তাবধানে চাল উৎপাদন।
আমাদের নতুন ধানের, সুগন্ধি নতুন চাউলগুলো হলোঃ-

?সুগন্ধি ?‍♀️কাটারিভোগঃ
এটি এমন এক সিদ্ধ চাল যা থেকে ভিটামিন, মিনারেল, জিংক, ফাইবার ইত্যাদিসহ সকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যাবে, এই চালের ভাত সরু, লম্বা এবং খেতেও দারুন স্বাদ রয়েছে, এটি সম্পূর্ণ সুগন্ধি চাল।

?সুগন্ধি ?‍♀️ চিনিগুঁড়া আতব প্রিমিয়ামঃ
ঐতিহ্য বাহী দিনাজপুরের অরিজিনাল সুগন্ধি চিনিগুঁড়া চাল, যার স্বাদ এবং গন্ধ অতুলনীয়, পোলাও, বিরিয়ানি এবং তেহারী বা খিঁচুড়ি হিবেবে এর বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে।

?স্পেশাল ?‍♀️ কাটারি নাজিরশাইল প্রিমিয়ামঃ

এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের নাজিরশাইল চাল, এর ভাত চিকন ও ছোট এবং খেতেও অনেক মিষ্টি সুস্বাদের হয়।

আমাদের_অন্যান্য_প্রিমিয়াম_চাউল_সমুহঃ
? স্পেশাল কাটারি আতব প্রিমিয়াম।
? স্পেশাল মিনিকেট (জিরাশাইল) প্রিমিয়াম।
? স্পেশাল বি.আর-২৮ প্রিমিয়াম।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : পণ্যের মান নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে পণ্য পরিবর্তন অথবা মূল্য ফেরত যোগ্য।আপনার যে কোন পরামর্শ বা উপদেশ সাদরে গ্রহন করা হবে। যা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

? সুগন্ধি কাটারিভোগ চাল’এর মূল্য :

?সুগন্ধি কাটারিভোগ প্রিমিয়াম চাল’এর মূল্য  ২৫ কেজি : ৩,৮৭৫/- টাকা,

অর্ডার কনফার্ম করার জন্য কল  করুন ::

☎ মোবাইল / হোয়াটস এপপ্স / ইমো # 01707001971
—————————————————————————————

?ঢাকা সিটিতে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ করবেন।
?ক্যাশ অন ডেলিভারী Cash on Delivery (COD).

?অর্ডার করার জন্য, আমাদের মোবাইলের ইনবক্সে মেসেজ সেন্ড করুনঃ

১.১  নাম #

১.২.ঠিকানা (বিস্তারিত)  #   বাড়ী নম্বর   #  কত তলা/ফ্লাট নম্বর  # , রোড নম্বর   # ,থানার নাম #

( লোকেশনের কাছাকাছি পরিচিত স্থান/বাজার/স্কুলের নাম)

২.১ আপনার মোবাইল নম্বর (সম্ভভ হলে )

২.২ ২য় কন্টাক্ট পারসনের নাম ও মোবাইল নম্বর

৩. প্রোডাক্ট এর নাম ,কোড অথবা ছবি ও পরিমান

[ মেসেজ পাঠানোর পর আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার কনফার্ম করবো ]
=========================================

?ঢাকা সিটিতে ডেলিভারি চার্জ নুন্যতম ৮০ টাকা ( অতিরিক্ত ওজনে প্রতি কেজির জন্য ১৫ টাকা হারে  ডেলিভারি চার্জ বৃদ্ধি পাবে)।

?ঢাকা সিটির বাইরে কুরিয়ার থেকে ডেলিভারি চার্জ ১২০ টাকা ( অতিরিক্ত ওজনে ডেলিভারি চার্জ বৃদ্ধি পাবে )।

?ঢাকা সিটির বাইরে জেলা বা উপজেলায় হোম ডেলিভারি চার্জ ১৫০ টাকা ( অতিরিক্ত ওজনে প্রতি কেজির জন্য ৩০ টাকা হারে ডেলিভারি চার্জ বৃদ্ধি পাবে)।

?ঢাকা সিটির বাইরে থেকে অর্ডারটি নিশ্চিত করতে পণ্যের সম্পুর্ন মুল্য ? এডভান্স প্রযোজ্য বিকাশ, নগদ ও রকেট অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে। ( COD তে ক্যাশ কালেকশনে ১% চার্জ দিতে হবে । বিকাশ, নগদ ও রকেট চার্জ প্রযোজ্য)

?Bkash  : 0170 700 1971 ( Personal )

?Nagad : 0170 700 1971 ( Personal )

?Rocket : 0170 700 19718 ( Personal )

?DUTCH BANGLA BANK

?AC NAME # MD ABDUR ROUF, SAVINGS AC # 2361 5168 939

?মোবাইলে অর্ডার দিতে কল করুন ::☎ মোবাইল / হোয়াটস এপপ্স / ইমো  #  01707001971

[ সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টার মধ্যে, ফোনে না পেলে এস এম এস দিয়ে রাখুন 0170 700 1971 নম্বরে ]

3995 in stock

Categories: , Tags: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , ,

Description

·
দিনাজপুরের কাটারিভোগ ধানের ইতিহাসঃ
দিনাজপুরের স্বর্ণ প্রসূত লাল মাটি আর প্রকৃতির অকৃপণ দান এলাকাবাসীকে যেন স্নেহভরে তুলে দিয়েছিল এক বিশেষ সম্পদ “কাটারিভোগ” ধান। দিনাজপুরের মাটি ও মানুষ ধন্য সে সম্পদ পেয়ে। গর্বিত ও সম্মানিত দেশ বিদেশের কাছে। কাটারিভোগ ধান ছাড়াও এ জেলায় আরো নানা জাতের সুগন্ধি ধান জন্মে। তার মধ্যে ব্রি ধান-৩৪, জিরা কাটারী (চিনিগুঁড়া), ফিলিপিন কাটারি, চল্লিশ জিরা, বাদশা ভোগ, কালোজিরা, জটা কাটারি, চিনি কাটারি ও ব্রিধান-৫০ উল্লেখযোগ্য।
এ জেলার ঐতিহ্যবাহী “ কাটারিভোগ ধান” বাংলাদেশের যে কোন ধানের চেয়ে গুণগত মানের দিক থেকে উন্নত। কখন কিভাবে দিনাজপুর জেলার কাটারিভোগ ধানের উৎপাদন শুরু হয়েছিল তা” সঠিকভাবে জানা যায়নি, তবে বিভিন্নভাবে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায় যে, কাটারিভোগ দিনাজপুরের আদি ও অকৃত্রিম ধান, ইতিহাস থেকে জানা যায় আর্যদের এ দেশে আগমনের পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে এ ধানের উৎপাদন হতো এবং তখন থেকেই মাটি ও মাটির উর্বরতা বিশেষে সুগন্ধি যুক্ত কাটারিভোগ ধানের উৎপাদন শুরু হয়েছিল।
কাটারিভোগকে ঘিরে রয়েছে অনেক কিংবদন্তী, লোককথা, লোকগাঁথা ও কাহিনী গল্প। ছুরি যেমন মাথার দিকে চোখাও একটু খানি বাঁকা, কাটারিভোগ ধানও দেখতে ঠিক তেমনি এবং সুগন্ধি। কথিত আছে যে, এই উন্নত ধানের চাল দিয়েই দেবতাকে ভোগ দেওয়া হতো বলেই এর নামকরণ করা হয়েছে “কাটারিভোগ” দিনাজপুরের প্রতাপশালী রাজা প্রাণনাথের বিরুদ্ধে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দরবারে দুর্নীতি, দুঃশাসন, দিল্লীর দরবারে রাজস্ব না পাঠানোর হঠকারিতা, মোগল আনুগত্য অস্বীকার ইত্যাদি অভিযোগ উত্থাপিত হলে সম্রাট রাজা প্রাণনাথকে তার দরবারে তলব করেন। ভীত সন্ত্রস্ত জমিদার প্রাণনাথ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খন্ডানোর উদ্দেশ্যে মোগল দরবারে উপযোগী বিপুল সংখ্যক উপঢৌকন নিয়ে যান। তার মধ্যে ঢাকার মসলিন, রাজশাহীর গরদ, বহু হীরা পান্না, জড়োয়, অলঙ্কার ও বিরাট অংকের স্বর্ণ মুদ্রা এবং দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী সুরভিযুক্ত “কাটারিভোগ চাল” ও “চিড়া” সঙ্গে নিয়ে দিল্লীর দরবারে গমন করেন। এই সমস্ত উপঢৌকনাদি প্রাণনাথের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলি খন্ডাতে পুরোপুরি সাহায্য করে এবং তিনি সসম্মানে “রাজা” উপাধিতে ভূষিত হন। উপঢৌকন হীরা-পান্না, স্বর্ণমুদ্রা পেয়ে সম্রাট যত না খুশি হয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছিলেন “কাটারিভোগ চাল” ও “চিড়া” পেয়ে। বর্তমান যুগেও এ জেলার মানুষ আত্মীয়-স্বজনকে খুশি করতে উপঢৌকন হিসেবে “কাটারিভোগ চাল” ও “চিড়া” পাঠাতে ভুল করেন না।
দেশি-বিদেশী বড় বড় মেহমান এবং রাষ্ট্র প্রধান ও কূটনীতিকরা এদেশে এলে কাটারীভোগ চালের পোলাও দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হয়। পরিতৃপ্ত হয়ে অতিথিবৃন্দ সুগন্ধি চালের অকুণ্ঠ প্রশংসা করে থাকেন এবং চালের উৎস ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে কৌতুহল হয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন। সুগন্ধি এবং মসৃণতার জন্য এখনও বিদেশে বিশেষ করে বৃটেন, আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে এর চাহিদা অপরিসীম। পোলাও ছাড়াও কাটারিভোগ চাল দিয়ে বিরানী, জর্দা পোলাও, পায়েশ, ফির্নী ও পিঠা সহ নানা প্রকার উপাদেয় খাবার তৈরি করা যায়। বাসমতি বা দাদখানি চালের চেয়ে উন্নত বলে সারা বিশ্বে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক এবং এককালে এ চালের প্রধান বাজার ছিল কলকাতা।
অতীতে সুরভীযুক্ত কাটারিভোগের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে তৎকালীন রাজা, জমিদারও সামন্ত প্রভুরা এই ধানের উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে তৎপর ছিলেন। তারা লাঙল বলদ ও গোবর সার দিয়ে কৃষকদের সর্ববিষয়ে সহায়তা ও উৎসাহিত করতেন। কাটারিভোগ উৎপাদনের ব্যাপারে গল্প প্রচলিত আছে যে ভাল ফলনের আশায় নাকি প্রথম বর্ষায় বীজ জমিতে ছিটিয়ে দিতো, লক্ষী দেবী সন্তুষ্ট হলে মৌ-মৌ সুগন্ধি ভরা সোনালী সরু ধানে গৃহ ভরে দিতো।
কাটারিভোগ ধান দিনাজপুরের ঐতিহ্য হলেও দিনাজপুরের সবখানেই এই ধানের চাষ হয় না। কাটারিভোগ ধান চাষের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার ফাঁসিলাহাট, চিরির বন্দরের কাঁউগা, করিমুল্লাপুর, খানপুর, সদর উপজেলার ছোট বাউল, বড় বাউল, চিরিরবন্দর উপজেলার বাউগাঁও, বিষ্টপুর, তালপুকুর, ভিয়াইল, পশ্চিম বাউল, দুর্গাডাঙ্গা এবং কাহারোল উপজেলার কয়েকটি এলাকায়।
কাটারিভোগের জমিকে বার বার চাষ দিতে হয় এবং এই জমিতে মাত্র একবারই ফসল ফলানো সম্ভব। এই ঐতিহ্যবাহী ধানটির আরও বিশেষত্ব হলো এটা গোবর সার ছাড়া রাসায়নিক সারে হয় না। এর ফলন হয় প্রতি বিঘায় উর্ধ্বপক্ষে ৯/১০ মন। সাম্প্রতিক বিশ্বে বেড়ে যাওয়া মানুষের মুখের অধিক খাবার জোগানোর প্রয়োজনে কাটারিভোগ চাষের ব্যাপারে চাষীরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “১০০% অরিজিনাল সুগন্ধি কাটারিভোগ চাল I 100% Original Sugundhi Katarivog Rice I 25 KG”

Your email address will not be published. Required fields are marked *