আর্থ্রাইটিস, অষ্টিওপরোসিস, বিষণ্ণতা, জরায়ু ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এমনকি ডায়বেটিস এবং মেদ বৃদ্ধি প্রতিরোধে ভিটামিন ডি’র ভূমিকা আছে। অনেকেই আছেন যারা নিজেরাও জানেন না তারা ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছেন। কাজেই আপনি যদি নিজের মধ্যে উপরোক্ত লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন তাহলে এর মাত্রা জানতে সঙ্গে সঙ্গে শরীর চেকআপ করে নিন।
জেনে নিন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে যেগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব আছে কিনা।
মাংসপেশির দুর্বলতা
ভিটামিন ডি-এর অভাবে মাংসপেশীর দুর্বলতা বেড়ে যায়। বিশেষ করে মাংসপেশি বেড়ে যাওয়া এবং মাংসপেশি কাঁপার মতো সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। কাজেই মাংসপেশির দুর্বলতা কাটাতে নিয়মিত ভিটামিন ডি খান।
বিষণ্ণতা
বিষণ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি। এর ফলে সারাক্ষণ মানসিক চাপ অনুভূত হয়। তখন কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। এর অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। ফলে মানুষ এমনি এমনি রেগে যায়।
হাড়ে ফাটল
ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ে সহজেই ফাটল ধরে। এর ফলে একটু পড়ে গেলে কিংবা সামান্য আঘাত পেলেই হাড়ে চির ধরে যায়। অনেক সময় হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা করলেও বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে।
দাঁত ভেঙে যায়
আপনার দাঁতে সমস্যা যেন লেগেই আছে। শক্ত কোনো কিছুই খেতে পারেন না। তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেঙেও যায়।
ভিটামিন ডি-এর অভাবে উচ্চরক্তচাপের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। কাজেই সময় থাকতে আগে থেকেই সচেতন হোন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান।
ক্লান্তি ও ঘুম আসে
ভিটামিন ডি-এর অভাবে সহজেই অনেক ক্লান্তি নেমে আসে। ফলে ঘুম পায়। কর্মক্ষেত্রে আরও কর্মঠ কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে নিজের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণ করুন।
মেজাজে প্রভাব ফেলে
ভিটামিন ডি-এর অভাব যে কোনো মানুষের মেজাজ-মর্জিতে প্রভাব ফেলে। এ সময় মনের মধ্যে চাপা একটা অশান্তি কাজ করে। ফলে সবসময় মেজাজ রুক্ষ থাকে। কেউ ভালো কথা বললেও প্রচণ্ড রাগ হয়। তাই কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আগেই শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করুন।
ওজন বেড়ে যায়
ওজন বাড়ার জন্যও দায়ী ভিটামিন ডি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি’সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখুন।
Reviews
There are no reviews yet.